ঢাকা: “স্বাধীনতা স্মৃতি পদক” প্রাপ্তিতে বাংলাদেশ বিমান এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর সভাপতি এটিএম সাজ্জাদুল আলমকে (রেজি নং বি-১৯১৭) শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানানো হয়। বাংলাদেশ বিমানের শ্রমিক ও কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে বিশেষ অবদানের জন্য এই বিশেষ পুরষ্কারে ভূষিত হন তিনি।
শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিমান শ্রমিক সভাপতি এটিএম সাজ্জাদুল আলমকে অভিবাদন জানান “বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটি”। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে “বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে” এক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি। এছাড়াও বিমানের আরেক কর্মকর্তা মো: রহমান রোহান সম্মানিত করা হয় "স্বাধীনতা স্মৃতি পদকে" ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাজ্জাদুল আলম বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে লক্ষ আমাদের নেতৃ হাতে নিয়েছেন সেজন্যে আমরা একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ ও অগণিত জীবনের মাধ্যমে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। বিএনপি জামাত ও তাদের বিদেশী দোষররা নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আমরা তাদের সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেব।
শ্রমিক ও কর্মচারীদের অধিকার সম্পর্কে তিনি বলেন, বিমান বাংলাদেশের প্রতিটা কর্মী তাদের ন্যায্য অধিকার পায়। আমাদের সরকারই তা নিশ্চিত করেছে। বিএনপি সরকারের সময় শ্রমিক ও কর্মচারীরা তাদের সঠিক অধিকার পেত না। বিভিন্ন বাটপার ও সিটারে ভরে গিয়াছিল বিমান বন্দরের প্রতিটা ক্ষেত্র।
বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটি’র চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম. শরীফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান।
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন ড. মো. মজিবুর রহমান, সাবেক সচিব ও চেয়ারম্যান,প্লানিং কমিশন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ব বিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ ড. হালিদা হানুম আখতার, বিমান কর্মকর্তা মো: রহমান রোহান, গিল্ড হল্ড কলেজ লন্ডনের প্রতিষ্ঠাতা শাহাদাত খান, বাংলাদেশ বিমান এমপ্লয়িজ ইউনিয়ন এর সভাপতি এটিএম সাজ্জাদুর আলম,এক্সিম ব্যাংকের অতিরিক্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর শাহ আব্দুল বারী, বাংলাদেশ প্রাণিবিদ্যা সমিতির চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. হামিদা খানম, ডেমোক্রেটিক পার্টির আহ্বায়ক এস.এম আশিক বিল্লাহ, প্রতিক্ষণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারপার্সন লায়ন মিসেস হেলেন কবীর, টাচ মেথড ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শাহ ওয়ালী উল্লাহ ফরহাদ।
এছাড়াও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইশরাক আলী, বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক মো. টিপু সুলতান, ইসমাইল হোসেন ইসমী, খোরশেদ আলম, এ.এইচ খান, মো. সিরাজুল ইসলাম, মির্জা আজম, সোহানুর রহমান, মো. তাজুল ইসলাম, মো. ওয়াহিদুর রহমান, মো. দ্বীন ইসলাম বাদল, মো. আব্দুল আলীম, মো. নিপুন সরকার প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, আমরা শুধু নামে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ব না। শুধু মোবাইল হাতে নিয়ে ফেইজবুক চালানোকেই স্মার্ট বাংলাদেশ বলে না। আমাদের ঘর থেকে শুরু করে স্কুল প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, সকল সেক্টরে সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ আমরা গঠন করব।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ বিমানের শ্রমিক ও কর্মচারীদের অধিকার আদায়ে আমাদের নেতা এটিএম সাজ্জাদুল আলম সর্বদা কাজ করে গেছেন। তার এই নিরলস ও একাগ্র পরিশ্রমের ফলে আজকের এই ”স্বাধীনতা স্মৃতি পদক ” প্রাপ্তিতে আমরা গর্বিত। এটিএম সাজ্জাদের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘয়ুও কামনা করেন বক্তারা।
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষকে সামনে রেখে আলোচনা সভায় ৮ (আট) দফা পরিকল্পনার ঘোষণা দেন “বাংলাদেশ শিক্ষা পর্যবেক্ষক সোসাইটি”। এতে তারা মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপারেও অঙ্গিকারাবদ্ধ হন।